ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আরও চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে তারা এ সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষিরা হলেন, মামলার রেকর্ডিং অফিসার নাজমুল আহসান, কক্সবাজার আয়কর সার্কেলের উচ্চমান সহকারী ইয়াসিন আরাফাত, টেকনাফ ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার শাহজাহান মনির ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার ওসমান গণি।
এ নিয়ে বদির বিরুদ্ধে ছয়জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। গতবছর ৮ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সোবহান। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা যায়, আব্দুর রহমান বদি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে এ মামলা হয়।
অভিযুক্তের সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, এনবিআর, বিআরটিএ, রাজউক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, রিহ্যাব, ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য অফিসে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সম্পদের হিসাব বের করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
এমআই/আইএ