ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও অর্থনৈতিক সূচকে অগ্রগতি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও অর্থনৈতিক সূচকে অগ্রগতি ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সরকার দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনার ফলে অর্থনীতির সবি সূচকে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী কতিপয় রাজনৈতিক দল সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অবরোধ ও হরতালের নামে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ গাড়ি পোড়ানো, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।



রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার কর্তৃক যথাযথ ও সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এসব নাশকতা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সরকারের দক্ষ পরিচালনায় অর্থনীতির সব সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।  

তিনি বলেন, সামাজিক সূচকসমূহের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশসমূহের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী ও উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে এবং ঢাকা শহরের যানজট সমস্যার সমাধানকল্পে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

সরকার দেশের সকল অঞ্চলের মধ্যে সুষ্ঠু ও সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাওয়া-জাজিরা অবস্থানে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সড়ক অবকাঠামো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ নিজস্ব অর্থায়নে শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল সেতুর পাইলিং এবং নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, শতভাগ স্যানিটেশন ও সবারর জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে মহানগর, পৌরসভা, গ্রামীণ ও দুর্গম অঞ্চলে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে পল্লী অঞ্চলে আরও প্রায় ৮০ হাজার আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্ব-অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে চলমান সঙ্কট এবং অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে উদ্ভূত নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও যথোপযুক্ত রাজস্বনীতি ও সহায়ক মুদ্রানীতির প্রভাবে দেশে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বজায় রয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারও রয়েছে সুস্থিত। গত পাঁচ বছরে মাথাপিছু জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি হয় গড়ে ৯ দশমিক তিন শতাংশ।

বিশ্ব-অর্থনীতিতে বৈদেশিক বাণিজ্যের শ্লথগতি এবং উন্নত দেশসমূহের অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে সব দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। এর কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রতিভাত হলেও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। ২০১৪-১৫ অর্থ-বছরে আমদানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক তিন শতাংশ, এর মধ্যে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি প্রবৃদ্ধি ১৮ দশমিক ছয় শতাংশ। এতে প্রতীয়মান হয় যে, দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে- বলেন রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
এসএম/এসকে/এমজেএফ

** ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সৃদৃঢ় হচ্ছে
** জ্যাকবের স্মরণে সংসদে শোক প্রস্তাব
** শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
** নাশকতা নিয়ন্ত্রণে আসায় জনজীবনে স্বস্তি
** রাষ্ট্রপতির ভাষণে বছরের প্রথম অধিবেশন শুরু
** নবম অধিবেশনে পাঁচ প্যানেল সভাপতি
** শীতকালীন অধিবেশন চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।