ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ট্যানারির দূষণ বন্ধে পরিবেশ আইন বাস্তবায়নের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
ট্যানারির দূষণ বন্ধে পরিবেশ আইন বাস্তবায়নের দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ট্যানারির দূষণ বন্ধে পরিবেশ আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) নেতারা। একই সঙ্গে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি বিবেচনায় পলিথিন নিষিদ্ধ আইন বাস্তবায়নেরও দাবি জানান তারা।


 
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে পরিবেশ অধিদফতরের গণশুনানিতে অংশ নিয়ে পবা নেতারা এ দাবি জানান।
 
তারা অভিযোগ করেন, হাজারীবাগের ট্যানারি প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ করে যাচ্ছে। এ নদীর মৎস্য ও জলজ প্রাণীর বিলুপ্তিসহ এর পানি শিল্প, কৃষি, গৃহস্থলি কাজে এবং পরিশোধন করেও খাবার পানি হিসেবে ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
 
পবা’র নেতারা বলেন, ট্যানারির বিষাক্ত ও বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্যাদি পানি, বায়ু, মাটি দূষণসহ জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে চলেছে। কিন্তু পরিবেশ আইনের আওতায় এখন পর্যন্ত কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষণ বিবেচনায় ট্যানারির দূষণ বন্ধে পরিবেশ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানাই।
 
তাদের অভিযোগ, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পচনশীল বলে বাজারে ব্যাপকহারে বেড়ে যাচ্ছে পলিথিন টিস্যু ব্যাগের ব্যবহার। যেগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই পলিথিনসহ পলিথিনজাত টিস্যু ব্যাগ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা ও রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানান তারা।
 
হাইকোর্টের নির্দেশনা, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ট্যানারি মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পলিথিন নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর বাস্তবায়নের দাবিতে এ গণশুনানিতে অংশ নেন পবা নেতৃবৃন্দ।
 
পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমীর সভাপতিত্বে গণশুনানিতে অংশ নেন- পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, সহ-সম্পাদক আবুল হাসনাত, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম সুজন, সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ, কেরাণীগঞ্জ শপিং ব্যাগ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ছিদ্দিকুর রহমান, উপদেষ্টা মো. শহীদুল আলম প্রমুখ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
এসএম/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।