ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডেসটিনি’র মানিলন্ডারিং মামলার চার্জ শুনানি অব্যাহত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
ডেসটিনি’র মানিলন্ডারিং মামলার চার্জ শুনানি অব্যাহত

ঢাকা: চার হাজার ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও  মানিলন্ডারিংয়ের (অর্থপাচার) অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনসহ ৫১ আসামির বিরুদ্ধে আংশিক চার্জ শুনানি গ্রহণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) মামলাটির আংশিক চার্জ শুনানি গ্রহণ করেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা।

এর আগেও তিনি কয়েকটি তারিখে এ মামলার আংশিক চার্জ শুনানি গ্রহণ করেন।

ডেসটিনি’র পক্ষে মামলায় চার্জ শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজি।

চার্জ শুনানি শেষে বিচারক আগামী ২৭ জানুয়ারি পরবর্তী চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

দুদকের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার এবং সহকারী পরিচালক মো. তৌফিক দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে  মামলা দু’টির পৃথক দু’টি চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। চার্জশিটে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ৫১ জনকে আসামি করা হয়।

মামলা দুটির ৩২নং মামলায় অভিযোগ আনা হয় ১৯ জনের বিরুদ্ধে আর ৩৩নং মামলায় অভিযোগ আনা হয় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে। দু’টি মামলায় একই ব্যক্তি একাধিকবার আসামি হওয়ায় মোট  আসামির সংখ্যা ৫১ জন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, অতি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে এমএলএম (বহুস্তরের বিপণন) ব্যবসা পদ্ধতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো- অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের বিভিন্ন প্যাকেজের শেয়ার দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন গ্রুপের পরিচালকেরা। ওই সব অর্থ ৩২টি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের নামে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করেছেন ডেসটিনির পরিচালকেরা।

আসামিরা হলেন- সাবেক সেনাপ্রধান ও ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, তার স্ত্রী ফারাহ দীবা, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন, শিরিন আক্তার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মজিবুর রহমান, সুমন আলী খান, সাইদুল ইসলাম খান, আবুল কালাম আজাদ এবং ডায়মন্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম।

তদন্তে এই মামলায় নতুন করে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তা মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, এস এম আহসানুল কবির, এ এইচ এম আতাউর রহমান, গোলাম কিবরিয়া, মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, এ কে এম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, দেলোয়ার হোসেন, বেস্ট এভিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান এম হায়দার উজ জামান, উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন, সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কাজী ফজলুল করিম এবং সাবেক কর্মকর্তা মোল্লা আল আমীন।

আত্মসাতের ঘটনায় সহযোগী হিসেবে আরও আসামি হচ্ছেন- বনানীর ইসলাম ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের শফিউল ইসলাম, বাগেরহাটের জিয়াউল হক মোল্লা, জেসমিন আক্তার, ফিরোজ আলম, শাহাজাদপুরের সেতু এন্টারপ্রাইজের সিকদার কবিরুল ইসলাম, বনানীর মমতাজ এন্টারপ্রাইজের ওমর ফারুক, ডিভেক রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন, ডেসটিনি গ্রুপের কন্ট্রোলার সুনীল বরণ কর্মকার, ডেসটিনি-নিহাজ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস সহিদুজ্জামান, ডায়মন্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, ডেসটিনি এয়ার সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আকতার ও ডেসটিনি গ্রুপের অ্যাডভাইজার শফিকুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।