ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাতক্ষীরায় কুড়িয়ে পাওয়া শাকের মেলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
সাতক্ষীরায় কুড়িয়ে পাওয়া শাকের মেলা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাতক্ষীরা: ব্রাহ্মি শাক ব্রেইনের জন্য উপকারী। তেলাকচু ডায়াবেটিসের মহৌষধ।

কচুর পাতা চোখের জন্য ভাল। আর থানকুনি তো সবার চেনা। এমনই চেনা-অচেনা বিভিন্ন প্রজাতির শাক কুড়িয়ে এনেছিলেন গ্রামের বধূরা। এ শাক নিয়েই বসেছিল পাড়া মেলা।

কুড়িয়ে পাওয়া শাক দেখতে ও কোন শাক, কোন লতাপাতার কি গুণ তা জানতে মেলায় এসেছিলেন গ্রামের আবালবৃদ্ধ বণিতা।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এ পাড়া মেলার আয়োজন করে।

মেলায় ১৫ জন গৃহবধূ গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে কুড়িয়ে আনেন কচুর ডাটা, তেলাকচু, থানকুনি, কলমি, ব্রাহ্মি, জাত কুমড়ার ডাটা, দস্তা কচু, কলমি, হেলেঞ্চা, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মুচা, ডুমুর, বউটুনি, পেপুল, বুনো ধনে পাতাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক প্রজাতির ভেষজ ও খাদ্যগুণ সম্পন্ন শাক-লতাপাতা।

এতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শাক প্রদর্শন করে প্রথম স্থান অধিকার করে মাছখোলা গ্রামের ফাতেমা খাতুন, দ্বিতীয় হন সাথী বেগম ও তৃতীয় হন আসমা বেগম।

পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রকৃতি সংরক্ষক খ্যাত রুহুল কুদ্দুস। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহীন ইসলাম, যুব সংগঠক ফজলুল হক, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সদস্য সাইদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম ও মফিজুল হক।

মেলায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত এসব খাদ্যগুণ সম্পন্ন শাক-লতাপাতার ব্যবহার বৃদ্ধি করে গ্রামীণ মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত ও এগুলো সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।