ঢাকা: হলমার্ক কেলেঙ্কারির নন-ফান্ডেড অংশের (দ্বিতীয় অংশ) অভিযোগ অনুসন্ধানে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখার এভিপি মো. নুরুল আলম, একই শাখার এফএভিপি গাজী মো. নাজমুল আলম, এফএভিপি মো. শাহীন হোসেন, সিনিয়র অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান ও গোপালদী শাখার এসএভিপি মো. রেজাউর রহমান।
এসব কর্মকর্তারা ২০১০ থেকে ২০১২ সালে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ওই শাখায় কর্মরত ছিলেন।
দুদক সূত্র জানায়, প্রায় পৌনে দুই বছর পর সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপসহ ৬টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইস্যুকৃত ব্যাংক-টু-ব্যাক এলসি’র বিপরীতে প্রদত্ত এক্সেপট্যান্স তথা নন-ফান্ডেড দায় সংক্রান্ত এ অভিযোগের অনুসন্ধান কাজ ফের শুরু করেছে কমিশন।
হলমার্ক ও তার পাঁচ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফান্ডেড, নন-ফান্ডেডসহ মোট তিন হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রয়েছে। এর মধ্যে ফান্ডেড অংশের তদন্ত শেষ করেছে কমিশন। ফান্ডেড অংশে দায়ের করা মোট ৩৮টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মামলাগুলোর চার্জশিট ইতোধ্যেই আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
আর হলমার্কের নন-ফান্ডেড অংশের সঙ্গে ৩৭টি ব্যাংকের ১২০টি শাখায় সম্পৃক্ততা রয়েছে। এসব ব্যাংক থেকে হলমার্ক নগদ হাতিয়ে নিয়েছে এক হাজার ৫৩৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
নন-ফান্ডেড অংশের জালিয়াতিতে আক্রান্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সরকারি সাতটি, বেসরকারি ২৫টি ও বিদেশি পাঁচটি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকর সঙ্গে হলমার্ক সুতা, তুলা, ফেব্রিক্স এবং এক্সেসরিজ সরবরাহের নামে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
এডিএ/জেডএস
