জামালপুর: জামালপুরের সব কমিউনিটি ক্লিনিকের তথ্য সরবরাহ বন্ধ রেখেছে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারা (সিএইচসিপি)। গত ১৫দিন ধরে মাসিক প্রতিবেদন, শিশু তথ্য, মাতৃস্বাস্থ্য তথ্য, সাধারণ রোগী তথ্যসহ সব ধরনের তথ্য দেওয়া বন্ধ রেখেছে সিএইচসিপিরা।
তথ্য দেওয়া বন্ধ রাখার বিষয়ে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার টাঙ্গারীপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি ও বকশীগঞ্জ উপজেলা সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমাদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তনুযায়ী উপজেলাসহ সব কমিউনিটি ক্লিনিকের তথ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গর্বের কমিউনিটি ক্লিনিকের চাকরি করছি। এ প্রকল্পে প্রায় ৫ হাজার গরীব মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা চাকরি করে জীবন নির্বাহ করে থাকে। আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষে চাকরি জাতীয়করণ করার পরিবর্তে ট্রাস্টে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও আমাদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছি।
বর্তমান আন্দোলন সর্ম্পকে জেলা সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সব তথ্য সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করা না হলে অচিরেই কমিউনিটি ক্লিনিক তলাবদ্ধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
জামালপুর সিভিল সার্জন ডা. মোশেউর ইসলাম তথ্য সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, প্রত্যেক মাসের ২ তারিখের মধ্যে তথ্য সরবরাহে নিয়ম থাকলেও আমরা এখন পর্যন্ত কোনো রিপোর্ট পাইনি। সিএইচসিপিরা চাকরি জাতীয়করণের আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা সব ধরনের তথ্য প্রদান বন্ধ রেখেছে বলে জানতে পেরেছি।
তবে যথারীতি কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো চালু রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
জামালপুর জেলায় ২৯১ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের তৃণমুল পর্যায়ের সাধারণ মানুষ উপকার ভোগ করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৬
এসএইচ