সিলেট: সিলেটের বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রথম দিনে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) সিলেট মহানগর মূখ্য হাকিম আদালতে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেন বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো।
নার্গিস হত্যা চেষ্টা মামলায় ৩৭জন সাক্ষীর মধ্যে প্রথম দিনে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ, উপাধ্যক্ষ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি, প্রত্যক্ষদর্শী কলেজ ছাত্র ইমরান কবির, মো. সালেহ আহমদ, রূপমা আক্তার, মাহফুজ আহমদ, আলামিন, মো. মাছুম আহমদ, মো. হাফিজুর রহমান, মো. মহরম আলী, ফয়জুল ইসলাম, ফাহমিদা এলাহী বৃষ্টি, হাবিবুর রহমান, পুলিশ সদস্য বেলাল হোসেন, আব্দুল্লাহ মো. উজ্জ্বল, কামার (যে দোকান থেকে হত্যা চেষ্টায় ব্যবহৃত চাপাতি বিক্রি করা হয়) আমির হোসেন।
সিলেট জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রথম দিনে মামলার বাদী, কলেজ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র-ছাত্রীসহ ও ১৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১১ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ। ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণের পর ২৯ নভেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
গত ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা নার্গিস এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর ক্যাম্পাসে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে বখাটে বদরুল। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এনইউ/বিএস