সংসদ ভবন থেকে: রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও সেদেশের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘ম্যাডাম সু চির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল পর্যায়ে রয়েছে’।
সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মায়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী গত পরশুদিন হাঙ্গেরি সফরের সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত কথা বলেছেন। আমরা সেই লাইনে কাজ করছি।
তিনি বলেন, প্রশ্নকর্তা যেভাবে বলেছেন আসলে বিমসটেকে এভাবে উত্থাপন করা যায় না। সব আন্তর্জাতিক ফোরামেই কোন ইস্যু উত্থাপন করতে হলে সে ব্যাপারে গ্রাউন্ডওয়ার্ক করতে হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে নানা সময় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। এর আগে জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনেও তিনি কথা বলেছেন। গত অক্টোবরে গোয়াতে অনুষ্ঠিত বিমসটেক আন্তর্জাতিক সম্মেলনও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের সাথে তার কথা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমি লাওসে আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামে ম্যাডাম সু কির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে আমাদের পররাষ্ট্র সচিবকে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে যে কথা হয়েছে। তিনি (সু চি) যেসব কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তিনিও চেষ্টা করছেন, তার নিজেরও সদিচ্ছা রয়েছে। তার দেশের সরকারের মধ্যে অনেক সমস্যা আছে এগুলো আপনারা জানেন। কাজেই সম্পূর্ণ জিনিসটা অত্যন্ত সংবেদনশীল পর্যায়ে রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা সবাই আমাদের পাশে আছে। আসিয়ানের মধ্যেও কয়েকটি দেশ তারাও ব্যাপারটা সুরাহার জন্য মায়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখছি।
সম্প্রতি মায়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে মানবিক কারণে যেটুকু করার তাদের জন্য আমরা করছি। আমাদের বিজিবির কঠোর পাহারা সত্ত্বেও অনেক জায়গায় তারা চলে এসেছে। মানবিক কারণে তাদেরকে খাদ্য এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামী ১০-১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের একটি সংস্থার সম্মেলন ঢাকায় হতে যাচ্ছে সেখানে মাইগ্রেশন ও অভিবাসন বিষয়ে আলোচনা হবে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এসএম/আরআই