ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদরের নিচপুটিয়া গ্রামের কৃষক মহিদুল ইসলাম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী স্ত্রী শাহানাজ পারভীন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি।
রোববার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলা নীচপুটিয়া গ্রামের মাঠ থেকে কৃষক মহিদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন বিকেলে নিহতের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ঝিনাইদহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬) সিপিসি-২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ বাংলানিজজকে জানান, মামলা দায়েরের পর ঝিনাইদহ র্যাব মামলার তদন্ত শুরু করে। স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে কৃষক মহিদুল হত্যার বিষয়টি বেরিয়ে এলে র্যাব স্ত্রী শাহানাজ পারভীনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে সোমবার বিকেলে বিচারকের সামনে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করে স্ত্রী শাহানাজ পারভীন। স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়।
র্যাব জানায়, একই গ্রামের কাওসার আলীর ছেলে বকুলের সঙ্গে শাহানাজ পারভীনের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার রাতে কৃষক মহিদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
পিসি/