ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফেরত আনতে কাজ করছে টাস্কফোর্স

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফেরত আনতে কাজ করছে টাস্কফোর্স

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের অবস্থান চিহ্নিত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে গঠিত টাস্কফোর্স কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

সংসদ ভবন থেকে: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের অবস্থান চিহ্নিত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে গঠিত টাস্কফোর্স কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
 
সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।


 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ছবি সম্বলিত তথ্য প্রেরণ করে তাদের অবস্থান চিহ্নিতপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
 
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করতে আইনমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টাস্কফোর্স দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের অবস্থান চিহ্নিত করা এবং দেশের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করে।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার নতুনভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর উক্ত টাস্কফোর্সটি পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত টাস্কফোর্স একাধিক সভায় মিলিত হয়ে জাতির পিতার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
 
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সর্বদা সীমান্ত রক্ষা ও সীমান্তের বসবাসকারী জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বন্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যায়ে আলোচিত হয়েছে।
 
তিনি জানান, ভারতীয় সরকার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে বিএসএফ প্রাণঘাতী মরণাস্ত্র ব্যবহারের পরিবর্তে নন-লেথাল উইপেন ব্যবহার করছে। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড পূর্বের তুলনায় ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। আশা করা যায় আগামী দিনগুলোতে তা আরও হ্রাস পাবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মানব পাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বিদেশ গমনকালে ২০১৫ সালে ২৩০ জন এবং অদ্যাবধি সর্বমোট ১ হাজার ৭৩৬ জন বিদেশগামী নাগরিককে সাগর থেকে আটক করা হয়েছে।
 
বেগম জেবুন্নেছা আফরোজের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পুলিশের মোট মঞ্জুরীকৃত জনবল ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৩। বর্তমানে নারী পুলিশের শতকরা হার ৬ দশমিক ৮৫ ভাগ। নারী পুলিশ সদস্যদের আবাসন ব্যবস্থা পুরুষ পুলিশ সদস্যদের চাইতে সম্পূর্ণ আলাদা।

আরও পড়ুন-

'ম্যাডাম সু চির সঙ্গে কথা হয়েছে'

উন্নত দ. এশিয়া গড়তে একত্রিত হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই

নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এসএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।