ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ এবং ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত বাস্তবতার নিরিখে রচিত। অপরদিকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি ও প্রকল্প সহযোগিতা এবং বাণিজ্য অর্থায়নসহ উন্নয়ন রাজনীতির বহুধাপ বিশিষ্ট ধারায় প্রবাহিত।

সংসদ ভবন থেকে: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ এবং ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত বাস্তবতার নিরিখে রচিত। অপরদিকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি ও প্রকল্প সহযোগিতা এবং বাণিজ্য অর্থায়নসহ উন্নয়ন রাজনীতির বহুধাপ বিশিষ্ট ধারায় প্রবাহিত।

তাই চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে ভারতের সাথে সম্পর্কের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রশ্নোত্তরপর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তাই স্বতন্ত্র, স্বকীয় এবং উন্নয়নের পরিভাষায় এক অপরের পরিপূরক। এ প্রেক্ষাপটে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের কোন নেতিবাচক প্রক্রিয়া কোথাও পড়বে বলে আমরা মনে করি না। আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল নীতিই হচ্ছে ‘সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বরাবরই প্রতিবেশী দেশসহ প্রতিটি রাষ্ট্রের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে বিশ্বাসী। আর প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতির প্রাধিকার। ভারতের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটবে না।

সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত ১৪-১৫ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর বাংলাদেশ সফর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ সফর চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গভীর ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তিনি জানান, চীনের প্রেসিডেন্টের সফরের ফলে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, ভৌত-অবকাঠামো, সড়ক-সেতু, রেল ও জলপথে যোগাযোগ, বিদ্যুত ও জ্বালানি উৎপাদন, যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি, কৃষি ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার পথ প্রশস্ত ও গভীরতর হবে। এছাড়াও দু’দেশের মধ্যে সমুদ্র-সম্পদসহ দুর্যোগ মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসের মতো বৈশ্বিক বিষয়ে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে।

আরও পড়ুন-

অস্ত্র সরঞ্জাম ভাড়া দিয়ে বছরে আয় ৪৩৭ কোটি টাকা

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফেরত আনতে কাজ করছে টাস্কফোর্স

'ম্যাডাম সু চির সঙ্গে কথা হয়েছে'

উন্নত দ. এশিয়া গড়তে একত্রিত হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই

নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এসএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।