ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সব স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছতে ৬০ দিন সময়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৬
সব স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছতে ৬০ দিন সময়

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সকল স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ঢাকা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সকল স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

এ বিষয়ে করা একটি সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।

 

৬০ দিনের মধ্যে এ আদেশ পালন করে স্থানীয় সরকার সচিব ও শিক্ষা সচিবকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী বছরের ০১ মার্চ পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।
 
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক। তিনি বলেন, এটা লজ্জাজনক যে, স্বাধীনতার এতো বছর পরে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম রয়ে গেছে। এজন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছে ফেলতে বা পরিবর্তন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে স্থাপনা থেকে নামকরণ প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির।

ওই রিটের প্রেক্ষিতে একই বছরের ১৪ মে দু’টি স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম প্রত্যাহারের আদেশ দেন হাইকোর্ট।

আদেশে বলা হয়, খুলনা মহানগরীর ‘খান-এ-সবুর’ সড়কের নাম প্রত্যাহার করে আগের ‘যশোর রোড’ নামটি ব্যবহার করতে হবে এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শাহআজিজুর রহমান’ মিলনায়তনের নাম প্রত্যাহার করতে হবে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দালাল আইনে বিচার শুরুর সময় প্রকাশিত ছয়শ’ স্বাধীনতাবিরোধী অপরাধীর তালিকায় মুসলিম লীগ নেতা খান এ সবুরের নাম ছিল। অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের সময় প্রধানমন্ত্রী হন শাহ আজিজুর রহমান। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে  স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার কারণে  তাকে দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

দীর্ঘ তিন বছরেও আদালতের ওই নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি মর্মে গত বছরের আগস্টে আবারো আদালতে আসেন মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির। এরপর ওই বছরের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট আবারও এসব স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
এরপরও প্রত্যাহার না হওয়ায় আবারো আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর তাদের আইনজীবী জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ পালন করেছে। কিন্তু খুলনার মেয়রের প্রতিবেদন যথাযথ হয়নি। পরে ১৫ দিনের মধ্যে খান এ সবুরের নামে কি কি স্থাপনা আছে তার তালিকা চেয়ে পাঠান হাইকোর্ট।

পরে একটি প্রতিবেদন দিয়ে স্থাপনার নাম পরিবর্তন করেছেন বলে আদালতকে জানান খুলনার মেয়র।

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) স্বাধীনতাবিরোধী ২০ জনের নাম উল্লেখ করে সম্পূরক একটি আবেদন করার পর মঙ্গলবার ওই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।