ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নাসিরনগরের ঘটনায় জাহাঙ্গীরের জবানবন্দি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
নাসিরনগরের ঘটনায় জাহাঙ্গীরের জবানবন্দি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় জবানবন্দি দিয়েছেন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় জবানবন্দি দিয়েছেন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম।

 

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দেন তিনি।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার জন্য ট্রাক ও ট্রাক্টর ভাড়া করে লোক সমাগম করেছিলেন উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, তার ভাই ও সমর্থকরা।

নাসিরনগরের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজন সাক্ষীর ১৬৪ ধারায় বিবৃতি ও দুইজন আসামির দেওয়া জবানবন্দিতে একই তথ্য ওঠে এসেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ইকবাল হোসাইন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এএসপি মো. ইকবাল হোসাইন জানান, জাহাঙ্গীর ২৯ অক্টোবর সকালে হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় বাজার থেকে শংকরাদহ গ্রামের জুয়েল মিয়া নামে এক যুবকের কাছ থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর ছবিটি শেয়ার-ইট অ্যাপসের মাধ্যমে নিজের মোবাইলে নেয়।

ছবিটি কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রিন্ট করে ওই দিন রাতেই ৩০/৪০টির মতো লিফলেট করে বিলি করে। এরপর রসরাজ দাসকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে জাহাঙ্গীর।

৩০ অক্টোবর হরিণবেড় বাজারে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুকের নেতৃত্বে মিছিল হওয়ার পর চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আঁখি ট্রাক ভাড়া করতে জাহাঙ্গীরকে নির্দেশ দেন।

নির্দেশ অনুযায়ী চার-পাঁচটি ট্রাক ভাড়া করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে ট্রাকে উঠিয়ে দুপুর ১২টার দিকে নাসিরনগর সদরের উদেশ্যে রওনা হয়। উপজেলা সদরে পৌঁছার পর লোকজন ট্রাক থেকে নেমে নাসিরনগর কলেজ মোড় ও স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশে যোগ দেন।

সমাবেশে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটি এম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (‌ইউএনও) চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদ, থানার তৎকালীন ওসি মো. আবদুল কাদের, হাজী বিল্লালসহ বেশ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ চলাকালে কিছু ছেলে হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দিরে ভাঙচুর করে।

জাহাঙ্গীর মোটরসাইকেলে করে সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ভাঙচুরে অংশ নেননি বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও ট্রাক ভাড়ার জন্য আ‍ঁখি ১০ হাজার ও তার চার বন্ধু দুই হাজার টাকা দেন। তিনি নিজেও তিন হাজার টাকা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এজি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।