ঢাকা: নারীদের অধিকার নিজেদেরই আদায় করে নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মুখে বললে হবে না- ‘অধিকার দাও’।
শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোকেয়া দিবস ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
রোকেয়ার উদ্বৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মুক্তি অর্জন করতে হবে। আর শিক্ষাই হচ্ছে তার সোপান।
নারীদের যোগ্যতার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, একটু সুযোগ পেলে মেয়েরা মেধার পরিচয় দিতে পারে। তারা ভালোভাবে প্রশাসন চালাতে পারে। প্রশাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা অবদান রেখে চলেছে। মেয়েরা সশ্রস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে খেলাধুলা সব ক্ষেত্রে ভালো করছে।
শিক্ষায় মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার কথা কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে গেছে। স্কুল-কলেজে এখন মেয়ে শিক্ষার্থী বেশি। ছেলেদের সংখ্যা কম। ছেলেদের কীভাবে এগিয়ে আনা যায়, সেটি ভাবতে হচ্ছে। ছেলেদের আরও এগিয়ে আসতে হবে। যারা জেন্ডার সমতা নিয়ে যারা কথা বলেন তাদের বলি, আমাদের দেশে ঘটনা কিন্তু উল্টো।
সংসদের উচ্চ চারটি পদে নারীর অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারী উন্নয়নের রোল মডেল। নারী রাজনীতিতে বাংলাদেশে বিশ্বে সপ্তম।
নারীদের কর্মমূখী হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
যৌতুক, বাল্য বিয়ে, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধসহ কর্মসংস্থান, ক্ষমতায়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল থেকে নারীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোকেয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি নারীর জন্য মুক্তির দূত হিসেবে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত আর্বিভূত হয়েছিলেন। এবার নারী উন্নয়ন ও নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় আরোমা দত্ত এবং বেগম নুর জাহানকে রোকেয়া পদক প্রদান করা হয়।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আরোমা দত্ত বলেন, এ পুরস্কার সব সংগ্রামী নারীর। আমি শুধু বাহক।
বেগম নুরজাহান বলেন, পদক পেয়ে দায়িত্ব বেড়ে গেলো। আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করতে সবার সহযোগিতা কামনা করি।
আগামীতে রোকেয়া পদক দুইজন থেকে বাড়িয়ে পাঁচজন দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম।
***জেন্ডার সমতা নিয়ে যারা কথা বলেন তাদের বলি, ঘটনা কিন্তু উল্টো
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
এমইউএম/আইএ