ঢাকা: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান বসানো হবে জানুয়ারিতে। আরও দু’টি স্প্যান জয়েন্ট দেয়ার কাজ চলছে।
শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে পদ্মাসেতুর মাওয়া অংশে প্রস্তুত করা প্রথম স্প্যান পরিদর্শন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বরাবররের মতো শুক্রবার সকাল কাটিয়েছেন পদ্মা পাড়ে। সেতুর কাজের অগ্রগতি দেখতে মাওয়ায় পদ্মাতীরের অদূরে ট্রাস ফেব্রিকেশন ইয়ার্ড ঘুরে দেখেন। এখানেই চলছে সেতুর উপর ভাগের (স্প্যান) জয়েন্ট দেয়ার কাজ।
মন্ত্রী জানান, নতুন বছরে পদ্মাসেতু পিলারের উপর ভর করে দাঁড় করানো শুরু হয়ে যাবে। সেখানে সেতু সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা মন্ত্রীকে পদ্মাসেতুর সবশেষ অগ্রগতি অবগত করেন।
সেখানে জানানো হয়, জানুয়ারিতে দু’টি পিলারের উপর স্প্যান-গার্ডার বসিয়ে দিতে পারবে চীনারা। আর তখনই পদ্মানদীর ওপরে পুরোপুরি একটি সেতু আকৃতি স্পষ্ট হবে।
এভাবে একে একে ৪২ পিলারের উপর ভর করে ১৫০ মিটার দীর্ঘ ৪১টি স্প্যান দিয়ে গড়ে উঠবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু।
এখানে চীন এবং বাংলাদেশের শ্রমিকরা যৌথভাবে সেতুর জয়েন্ট, সেকশন, ডয়াগনাল মেম্বার, গার্ডার, টপকর্ড ও বটমকর্ড অংশের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এসব বেশিরভাগ কাজই স্বয়ক্রিয় পদ্ধতিতে হচ্ছে।
এছাড়া চিন থেকে আসা নতুন তিন হাজার টনের হেমারটিও পরিদর্শন করেন।
সেতু সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, স্প্যান অংশ জয়েন্টের পর ক্রেনে তুলে তা পিলারে বসানো হলেই উপরের আরসিসি স্ল্যাব দিয়ে দেওয়া হবে। আর ভেতর দিয়ে যাবে রেলপথ উপরে চলবে গাড়ি।
পদ্মাসেতুর পিলার হবে ৪২টি। প্রতিটিতে পিলারে ছয়টি করে মোট ২৪০টি পাইল থাকবে। আর দুই প্রান্তে আরও ১২টি করে ২৪টি পাইল থাকবে।
আরও জানা গেছে, যে একটি স্প্যান প্রস্তুত ও যে আরেকটির কাজ চলছে। এগুলো মাওয়া অংশের ৬ ও ৭ এবং ৩৭ ও ৩৮ এর মাঝামাঝি বসবে।
২০১৮ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের দীর্ঘতম স্থাপনা পদ্মাসেতু। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে সরাসরি যুক্ত হবে রাজধানী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
এসএ/এসএইচ