পিরোজপুর: মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে নিহত পিরোজপুরের পুলিশ সদস্যদের স্মরণে নির্মিত 'শহীদ পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভ'র উদ্বোধন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক।
শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় পিরোজপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পুলিশের অর্থায়নে স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করা হয়।
উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন-মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পিরোজপুরের তৎকালীন মহকুমা পুলিশ প্রধান ফয়জুর রহমান আহমেদের ছেলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মো. জাফর ইকবাল, বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, মেয়ে অধ্যাপিকা সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহীদ, রোকসানা আহম্মেদ ও পুত্রবধূ ড. ইয়াসমীন হক।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন-বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন, বরিশালের পুলিশ সুপার মো. আক্তারুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সমীর কুমার দাস বাচ্চু, সাবেক জেলা কমান্ডার ও সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম চৌধুরী ও প্রেসক্লাব সভাপতি মাহমুদ হোসেন।
পরে আইজিপি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরের মহকুমা পুলিশ প্রধান ফয়জুর রহমান আহমেদ অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করায় পঞ্চম বলেশ্বর নদের বধ্যভূমিতে হানাদার বাহিনীর কর্নেল আতিকের নির্দেশে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তার মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বাগেরহাটের ফকিরহাটে সম্মুখ যুদ্ধে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল হালিম খন্দকার, সাতক্ষীরার দেবহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকা অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করায় আবুল হাশেম আকন্দ, বাগেরহাটে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে নিহত আবুল হাশেম গাজী এবং রাজশাহীতে আব্দুর রহমান শেখের নাম স্মৃতিস্তম্ভে লেখা হয়েছে। এরা সবাই পিরোজপুর জেলার নাগরিক ছিলেন।
স্থপতি মীর আল আমিন বাংলানিউজকে জানান, স্মৃতিস্তম্ভটিতে মহকুমা পুলিশ প্রধান ফয়জুর রহমান আহম্মেদের প্রতিকৃতি রয়েছে। প্রতিকৃতিটি মরিচা নিরোধক ইস্পাত দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
আরবি/পিসি