ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আইনি কাঠামোয় আসছে অভিবাসীদের অধিকার

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
আইনি কাঠামোয় আসছে অভিবাসীদের অধিকার

প্রথমবারের মতো অভিবাসীদের অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে আইনি কাঠামোতে আসতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলো ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

ঢাকা: প্রথমবারের মতো অভিবাসীদের অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে আইনি কাঠামোতে আসতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলো ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

ঢাকায় শুরু হওয়া গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি) সম্মেলনের প্রথম দিনের সরকারি পর্যায়ের আলোচনা শেষে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) এসব কথা জানান সম্মেলনের চেয়ার ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।

সন্ধ্যায় ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব আরও জানান, বিশ্ব সম্প্রদায় অভিবাসন ইস্যুতে একটি গ্লোবাল কমপ্যাক্ট প্রণয়নে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আগামী ২০১৮ সালে বিশ্ব নেতারা এ চুক্তিটি অনুমোদন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ কমপ্যাক্টের উদ্যোক্তা বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে কমপ্যাক্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিবাসন বিষয়ক সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন জিএফএমডি’র এবারের নবম আসরে কমপ্যাক্টের অবয়ব কেমন হবে, বিশ্বের সিভিল সোসাইটি কি চায়, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি কি চায়, সরকারগুলো কি চায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, সম্মেলন শেষে এ বিষয়ে একটি উপসংহারে আসতে পারবো’।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এখন জিএফএমডি’র শক্তি অনেকটা বেড়েছে। কারণ, আগামী দু’বছর কমপ্যাক্ট করার বিষয়ে আলোচনা, বোঝাপড়া হবে। যে অভিবাসন কোনোদিনই আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা যাচ্ছিল না, তার একটি সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সুতরাং, এ প্রেক্ষাপটে ঢাকার জিএফএমডি সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।
 
অভিবাসন ইস্যুটি অত্যন্ত এক্সক্লুসিভ উল্লেখ করে  শহীদুল হক বলেন, সিভিল সোসাইটি কিছু বিষয়ে খুব শক্তিশালী বক্তব্য এবং মতামত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ সম্মেলনে সরকার ও সিভিল সোসাইটির পাশাপাশি প্রথমবারের মতো বিজনেস কমিউনিটিও অংশ নিচ্ছে। এর আগে সুইডেন সপ্তম জিএফএমডি সম্মেলনে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের আনার চেষ্টা করলেও তারা সফল হয়নি। তাদেরকে যুক্ত করলে সে সময় সিভিল সোসাইটি ওয়াক আউট করতে চেয়েছিল। তবে আমরা সকল পক্ষকে রাজি করে এবার ব্যবসায়ীদেরকে জিএফএমডিতে যুক্ত রাখতে পেরেছি। সারা জীবনের জন্য এটি বাংলাদেশের বড় অর্জন হিসেবে থাকবে’।

মো. শহীদুল হক বলেন, ‘কমপ্যাক্ট গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ কি করতে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে সবাই জানতে চাইছেন। আমরা বলেছি, এক্ষেত্রে সিভিল সোসাইটিকে শক্তি হিসেবে পাশে চাই’।

সকালে এ সম্মেলনের সরকারি পর্যায়ের মূল আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
জেপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।