ঢাকা: কক্সবাজার উপকূলে গত ২১ মে ব্যাপকভাবে আঘাত হানে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু। এর ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে এ পর্যটন নগরী।
সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও অবকাঠামো মেরামত করে ক্ষত মুছতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)। এ লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ‘ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’য় ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটননগরীর উন্নয়ন’ প্রকল্প প্রস্তাবও পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন মেয়াদে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফারুক জলিল বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু কক্সবাজারের সড়ক-অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধও বিলীন হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। পর্যটকসহ স্থানীয়দের অবকাঠামোগত সুবিধা দিতে এগুলোর সংস্কার করা দরকার। সে লক্ষ্যেই আমরা প্রকল্পটি গ্রহণ করেছি। প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত-অবকাঠামো বিভাগে পাঠানো হয়েছে’।
প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত কুতুবদিয়া উপজেলার কুতুবদিয়া-আজম সড়কের ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার অংশ মেরামত ও সাত মিটার সড়ক বাঁধসহ নতুন পেভমেন্ট নির্মাণ এবং একতাবাজার-পহরচাদা-মগনামাঘাট জেলা মহাসড়কের প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার অংশ মেরামত করা হবে।
এছাড়াও ১ দশমিক ১৩ লাখ ঘনমিটার সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, সাত মিটার নতুন পেভমেন্ট, ৩ কিলোমিটার জুড়ে পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ করা হবে। এর পাশাপাশি চার কিলোমিটার পেভমেন্ট মজবুতকরণ, ১১ কিলোমিটার সার্ফেসিং এবং সাড়ে ৯ কিলোমিটার পেভমেন্ট সার্ফেসিংয়ের আওতায় আনা হবে।
প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কে কার্পেটিং ও সিলকোট কাজ করা হবে। ছয়টি ২২ মিটার আরসিসি বক্স কালভার্ট, সাড়ে ১২ হাজার মিটার সিসি ব্লক স্থাপন, সাড়ে ৯ হাজার বর্গমিটার সড়কজুড়ে স্লোপ প্রটেকশনের কাজেরও প্রস্তাব করা হয়েছে প্রকল্পে। কক্সবাজারে প্রয়োজন অনুসারে ৩ হাজার ৮০০ মিটার টো-ওয়াল নির্মাণও করা হবে, যেগুলো ‘রোয়ানু’ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সওজ সূত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক-অবকাঠামো সংস্কার ছাড়াও পর্যটন সুবিধাও বাড়ানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১৬
এমআইএস/এএসআর