ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্থানীয় সরকার সবল রাখতে রাষ্ট্র ধারাবাহিক নয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
স্থানীয় সরকার সবল রাখতে রাষ্ট্র ধারাবাহিক নয় ছবি: জিএম মুজিবুর রহমান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নানা সমস্যায় জর্জরিত।  এ ব্যবস্থায় দৃষ্টিভঙ্গি ও দক্ষতার ঘাটতি ছাড়াও রয়েছে টাকার সংকট। প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী করতে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি।

ঢাকা: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নানা সমস্যায় জর্জরিত।   এ ব্যবস্থায় দৃষ্টিভঙ্গি ও দক্ষতার ঘাটতি ছাড়াও রয়েছে টাকার সংকট।

প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী করতে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি।

গভর্নেন্স এডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে সোমবার ( ডিসেম্বর ১২) সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে 'শক্তিশালী উপজেলা পরিষদ: মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা আলোকে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ' বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য মো. রহমত আলী।

সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক ড.এম এম আকাশ, অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম।

আয়োজকের সমন্বয়ক মহসিন আলীর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অনিরুদ্ধ রায়।

ড.কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, এদেশে যার হাতে ক্ষমতা থাকে তার কথাটাই টিকে থাকে। এটি ঠিক নয়। কারণ প্রজাতন্ত্রে সকলের সমান অধিকার।

তিনি বলেন, আইন থাকলে বিধি বিধানের অভাব রয়েছে। তাছাড়াও রাজনৈতিক নেতৃত্বে আস্থার অভাব রয়েছে জনগণের মধ্যে। প্রশাসনও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করতে পারছে না। জ্বি হুজুর না করে 'উন্নয়ন প্রশাসন' সম্পর্কে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের আইনের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। এ নিয়েও ঠিকমত গবেষণাও হচ্ছে না। ফান্ড শেষ হলে গবেষণাও শেষ করেন গবেষকরা।

তিনি বলেন, নির্বাচন হওয়ার পর উপজেলা পরিষদকে খুঁজে পাওয়া যায় না। যেখানে কথা বলার সেখানে উপজেলার নির্বাচিত নেতৃত্বরা কথা বলেন না। বরং কে কোন গাড়িতে চড়বেন তা নিয়ে ঝগড়া বাধান।

এম এম আকাশ বলেন, উপজেলা পরিষদকে সফল করতে ভারতের পঞ্চায়েতের মত গ্রামপর্যায়ে নির্বাচন করা জরুরি। বঙ্গবন্ধু বাকশাল ভাবনায় এ বিষয়টি এনেছিলেন।
তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ  অর্থায়নের অধিকার না থাকলে এটি সফল হবে না। এ জন্য ট্যাক্স কালেকশনের জন্য স্বতন্ত্র আইনের প্রয়োজন রয়েছে।

ড. মোবাশ্বের মোনেম বলেন, উপজেলা পরিষদে উন্মুক্ত বাজেট গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। এখানে রাজনৈতিক ও প্রশাসনের মধ্যে স্বচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে। স্থানীয় সরকার নিয়ে সকল সরকারের কমিটমেন্টের অভাব ছিল এবং এখনও রয়েছে। সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ উপজেলা পরিষদের কাজে অন্তরায় সৃষ্টি করছে।

আরো বক্তব্য রাখেন, পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের পক্ষে মো.আব্দুল হামিদ (চেয়ারম্যান), মো. আব্দুল মালেক (নির্বাহী কর্মকর্তা), মো. হাবিবুর রহমান( ভাইস চেয়ারম্যান),  মান্দা উপজেলা পরিষদের পক্ষে এম আহসান হাবিব (ভাইস চেয়ারম্যান) এবং মোছা.জামিলা আক্তার ফেন্সি (ভাইস চেয়ারম্যান; মহিলা)।

বেসরকারি ওয়েভ ফাউন্ডশন নওগাঁ জেলার পত্নীতলা ও মান্দা উপজেলার পাইলট আকারে কার্যক্রম পরিচালনা করে যে ফলাফল পায় তা সভায় উঠে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
কেজেড/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।