সিরাজগঞ্জ: লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে যমুনার তীরে মনোরম পরিবেশে শুরু হয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা ইজতেমা। ইতোমধ্যে জেলার ৯টি উপজেলা ছাড়াও আশপাশের জেলাগুলো থেকেও মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে চলে এসেছেন।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজ শেষে সিরাজগঞ্জ শহরের মালশাপাড়া চায়না বাঁধ এলাকায় চারদিকে নদীবেষ্টিত বিশাল মাঠে তিনদিনব্যাপী ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জুমার নামাজ পড়েই বয়ান শুরু করেন দেশ-বিদেশে খ্যাতনামা আলেম-ওলামারা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ কামরুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে চায়না বাঁধের দক্ষিণে প্রায় ১৩ লাখ বর্গফুট জায়গার ওপর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় সহস্রাধিক মুসল্লির মাসাধিকাল স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে ইজতেমার স্থল প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ইজতেমায় এক লাখ মুসল্লির ওজু, গোসলখানা, টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা বাংলানিউজকে জানান, পৌসভার পক্ষ থেকে দুটি প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ইজতেমা স্থলে তিনটি মেডিকেল টিমে তিনজন ডাক্তার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। মেডিকেল ক্যাম্প থেকে জরুরি ওষুধ সরবরাহ ও অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.বি.এম হামিদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমা মাঠ ও তার আশপাশে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। একটি ট্রান্সফরমারে মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে ২ হাজার ইউনিট নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর আলম খান বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য ৬শ’ পোশাকধারী পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকধারী পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
পিসি