ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনটে সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ দোকানঘর অপসারণ করে নেওয়ার জন্য ৫৭ ব্যবসায়ীকে নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহকারী আপন দুলাল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২০১১ সালে ধুনট উপজেলা পরিষদের জায়গা দখল নিয়ে বিনা অনুমতিতে ৫৭টি স্থায়ী ভাবে আধাপাকা দোকানঘর নির্মাণ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি দোকান ঘরের দৈর্ঘ্য ১২ফুট এবং প্রস্থ ১০ফুট। অবৈধ দখলদাররা এসব দোকান ঘর কেউ ভাড়া দিয়েছে, কেউ বা আবার নিজেই ব্যবসা করছেন। কিন্তু দোকান ঘর গুলোর কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। এ কারণে উপজেলা পরিষদ এ সব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন না।
দোকন ঘরের মালিক জহুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, উপজেলা পরিষদের তহবিলে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে নিজস্ব টাকায় দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্ত পাঁচ বছরে দোকান ঘরের ভাড়া পরিশোধ করা হয়নি। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত নোটিশে দোকানঘর অপসরাণ করে নিতে বলা হয়েছে।
দোকান ঘারের মালিক শরিফুল ইসলাম খান বলেন, ধুনট উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পরিত্যাক্ত জায়গায় মাঠি ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। দোকানঘর বরাদ্দ নেওয়ার পর থেকে ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসণ অপারোগতা প্রকাশ করায় ভাড়া দেওয়া হয়নি। অথচ এই দোকানঘর সেচ্ছায় অপসারণ করে নেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মাদ ইব্রাহীম জানান, বিনা অনুমতিতে সরকারি জায়গা দখল নিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করেছে ব্যবসায়ীরা। এ সব ব্যবসায়ীদের নিকট দোকানঘর বরাদ্দের কোন বৈধ কাগজ পত্র নেই। এ কারণে অবৈধ দোকাঘরের ভাড়া নেওয়া হয়নি। সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে দোকানঘর সেচ্ছায় অপসারাণ করে না নিলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
এজি