ঢাকা: সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে পরপর দুইটি বড় স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শুল্ক গোয়েন্দার উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক ইমাম গাজ্জালী ও সিলেট কাস্টমসের একজন প্রতিনিধি।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে জানান, গত ১৬ নভেম্বর ভোর ৬টায় আবুধাবি থেকে আসা বিমানের দুই সিটের নিচ থেকে ৯ কেজি ৩০০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ওই দু’টি সিটে কোনো যাত্রী ছিলো না।
তিনি জানান, এক মাসের ব্যবধানে ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় দুবাই থেকে আগত বিজি ০৫২ ফ্লাইটের অভ্যন্তরে অবস্থায় ১৬টি স্বর্ণবার উদ্ধার করেছে। ফ্লাইটের সিট ৪৩ডিইএফ এর ওপরে লাগেজ কম্পার্টমেন্টে রাখা একটি প্লাস্টিকের হ্যান্ডব্যাগে লুকানো ছিলো। এ সিটে কোনো যাত্রী ছিলো না। যাত্রীদের কেউ কৌশলে ব্যাগটি ওই সিটের ওপর লাগেজ কম্পার্টমেন্টে রেখে দেয়।
তিনি বলেন, গঠিত কমিটি স্বর্ণ চোরাচালানের পেছনে কারা জড়িত ও অভ্যন্তরীণ কোনো যোগসাজশ ছিল কিনা তা বের করবে ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
আরইউ/এনইউ/টিআই