ঢাকা: ২০১৯ সালে ক্ষমতাসীনদের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আর সে নির্বাচনে বিএনপি অবশ্যই অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স শীর্ষক’ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালে ক্ষমতাসীনদের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারণ ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা তার পক্ষেই সম্ভব। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ অন্য সিটি নির্বাচন তার প্রমাণ। তাই বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করছি।
নাসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ও উৎসবমুখর পরিবেশে নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেই কথা স্বীকারও করেছে। কিন্তু ভোট গণনা পর তারা বলছে, কোনো এক অদৃশ্য শক্তি কাজ করেছে।
যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, নির্বাচনের হেরেই তারা একথা বলেছেন।
দেশের উন্নায়ন প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি যখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলাম, তখন তৈরি পোশাক খাতে রফতানি ছিল ২৭ বিলিয়ন ডলার, পরের বছর ৩০ বিলিয়ন, এরও পরের বছর ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৩১ বিলিয়ন এবং সর্বশেষ ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ বিলিয়ন ডলারে।
আমরা মাত্র চার বছরে প্রায় দশ বিলিয়ন ডলার রফতানি বাড়িয়েছি। এটাই শেখ হাসিনার দেশ, এখানেই শেখ হাসিনার মেধা, দক্ষতা।
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এক সময় ৭ কোটি মানুষ ছিল কিন্তু তখন খাদ্যের অভাব ছিল। এখন ১৬ কোটি মানুষ অথচ খাদ্যের কোনো অভাব নেই। বরং খাদ্য আমরা রফতানি করি।
এর আগে ডিআরইউ’র সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী তোফায়েল আহমেদের হাতে সন্মাননা স্মারক তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬
এসটি/বিএস