ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গভীর রাতেও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে সূর্য ভিলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
গভীর রাতেও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে সূর্য ভিলা  গভীর রাতেও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে সূর্য ভিলা-ছবি: জিএম মুজিবুর

চারিদিকে সুনসান নীরবতা, যেন পিন পতনের শব্দও শোনা যাবে, মূল রাস্তায় আলো থাকলেও আল বাছির জামে মসজিদের গলিটা কিছুটা অন্ধকার, ঐ গলি'র ২০০ গজ ভিতরে সূর্য ভিলা নামের বাসাটি ছিল জঙ্গিদের আবাসস্থল।

ঢাকা: চারিদিকে সুনসান নীরবতা, যেন পিন পতনের শব্দও শোনা যাবে, মূল রাস্তায় আলো থাকলেও আল বাছির জামে মসজিদের গলিটা কিছুটা অন্ধকার, ঐ গলি'র ২০০ গজ ভিতরে সূর্য ভিলা নামের বাসাটি ছিল জঙ্গিদের আবাসস্থল। সেখানে এখনও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, যার প্রথম ধাপেই রয়েছে পুলিশ।

তাছাড়াও র‍্যাব, এসবি, ডিবি সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অবস্থান করছেন সেখানে।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে অভিযানের প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের সার্বিক অবস্থা দেখতে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে সেখানে।

কর্তব্যরত পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, যেহেতু ঘরের ভেতরে থাকা কিশোর জঙ্গি আফিফের মরদেহ  সরানো হয়নি, তাই বলতে গেলে, অপারেশন এখনও শেষ হয়নি। কেন না ঘরের ভেতর বিপুল গ্রেনেড ও গুলি আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   বিস্ফোরণের শঙ্কা আছে, তাই  রাতে আর অভিযান হবে না। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দিনের আলোয় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট অপারেশনের বাকি কাজ শুরু করবেন। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এখনও সতর্ক অবস্থায় আছে।

এদিকে আশেপাশে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরার সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে, মূল গেটে অবস্থানরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুম জানান, বাইরে থেকে যদি কেউ পাড়ার ভিতরে প্রবেশ করতে চায়, আমরা তাদের শরীর চেক করে তাদের নিজ বাসা পর্যন্ত রেখে আসি, অন্যদিকে কোন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে বের হতে দিচ্ছি না, তারপরও যদি কেউ বের হতে চায়, আমরা তাদের সাথে  যাচ্ছি এবং বাসার ভিতরে রেখে আসছি। গভীর রাতেও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে সূর্য ভিলা-ছবি: জিএম মুজিবুরতবে সারাদিন যে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে তাদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, আশেপাশের দোকান পাট এবং রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া কাউকেই ঘটনাস্থলের পাশে রাস্তাতেও ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না।
 
এর আগে, শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা থেকেই জঙ্গি আস্তানার গোপন সংবাদে ‘সূর্যভিলা’ ঘেরাও করে কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা। সেখানে জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে তাদের আত্মসর্মপণের আহ্বান জানায় পুলিশ। এর মধ্যে চারজন আত্মসমর্পণ করে; যাদের দু’জন নারী ও দু’জন শিশু। এ সময় তারা একটি পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলি পুলিশের কাছে জমা দেয়।

তবে অবশিষ্ট তিন জঙ্গিকে বার বার আত্মসর্মপণের কথা বলা হলেও তারা সে আহ্বানে সাড়া দেননি। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে এক নারী জঙ্গি ও এক কিশোর জঙ্গি  নিহত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
এসটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।