ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানের জঙ্গি আস্তানায় উদ্ধার অভিযান ও আলামত সংগ্রহের কাজ শেষ হলেও এখন কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা হয়েছে সূর্য ভিলা নামের ওই বাড়িটি। জঙ্গি আস্তানাসহ আশপাশের বাড়িগুলোকেও রাখা হয়েছে কঠোর নজরদারিতে।
এছাড়া মূল সড়ক থেকে ওই বাড়ির সরু রাস্তায় কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে চাইলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে দক্ষিণখানের জঙ্গি আস্তানার মূল সড়কে গিয়ে দেখা যায়, মূলসড়ক থেকে সূর্য ভিলায় প্রবেশের জন্য যে সরু রাস্তাটি রয়েছে ওই রাস্তা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করছে পুলিশ। ওই সড়কে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিনে আরো দেখা মেলে, সূর্য ভিলার পাশে আরো বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। এই বাড়িগুলোতে প্রবেশের জন্য ওই রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। যারা ভাড়াটিয়া বা বাড়িওয়ালা তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। প্রবেশ সংরক্ষিত করা হয়েছে।
এছাড়া সূর্য ভিলার ওই বাড়িটি এখনো তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ওই বাড়িটি কবে নাগাল খুলে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে এখনো বাড়ির মালিকে অবগত করা হয়নি।
সূর্য ভিলার সামনে দায়িত্বরত পুলিশ এএসআই হরিদাস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা দিচ্ছি। যে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি চালানো হচ্ছে নিরাপত্তার স্বার্থেই। বাড়িটি এখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে।
এই রাস্তায় প্রবেশের সময় পুলিশের বাধার সন্মূখীন হন নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি শেওড়া থেকে সূর্য ভিলার পাশে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন আমি আমার এক আত্মীয়ের বাসার যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে প্রবেশ সংরক্ষিত।
সূর্য ভিলার বাড়িটি খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বাড়ির মালিক জামাল হোসেনের মেয়ে জোনাকি বাংলানিউজকে বলেন, বাড়ি খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের এখানো কোনো কিছু জানানো হয়নি।
তিনি আরো জানান, আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। এছাড়া সূর্যভিলার কয়েকটি ভাড়াটিয়া আমাদের থাকার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বাড়িটি দ্রুত খুলে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে দক্ষিণখানের এই বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। পরদিন শনিবার সকালে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এক জঙ্গি নারী ও এক কিশোর আফিফ কাদেরী নিহত হয়। এছাড়া দুই শিশুসহ দুই নারী আত্মসমর্পন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
আরএটি/বিএস