ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনায় ‘সূর্য ভিলা’ নামে জঙ্গি আস্তানায় অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অর্থ কোথায় থেকে এসেছে সে বিষয়ে আত্মসমর্পণকারীরা কিছু ভাসা ভাসা তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল বলেন, জঙ্গি মাঈনুল ইসলাম মূসাকে গ্রেফতার করা হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। সূর্য ভিলা নামে ওই বাসাটি মূলত জঙ্গি মূসাই ভাড়া নিয়েছিল। সেখানে তার স্ত্রী ও মেয়ে থাকতো।
তিনি আরও বলেন, আত্মসমর্পণকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে এখানে কারা কারা আসতো তাদের কিছু সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেছে। মূলত এ আস্তানাটি অফিস কাম বাসা হিসেবে ব্যবহার হতো। আর মূসা সাংগঠনিক কাজে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতো। মাঝে মধ্যে এ বাসায় আসতো।
জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আত্মসমর্পণকারীদের এখানো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানালেন সিটিটিসি’র প্রধান এ কর্মকর্তা।
নারী জঙ্গিরা নিজের ইচ্ছায় এ জঙ্গিবাদে এসেছে কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জবাবে মনিরুল বলেন, নিজেদের ইচ্ছায় নারীরা এ পথে এসেছে এমন তথ্য আমরা এখনো পাইনি। তবে কেউ কেউ স্বামীর প্ররোচণায় এ পথে এসেছে। এর মধ্যে তানভীর কাদেরের স্ত্রী স্বামীর প্ররোচণায় জঙ্গিবাদে এসেছেন। তাকে এ পথে আসতে স্বামী বাধ্য করেছিল। তবে জঙ্গিবাদ পছন্দ করতেন না, কিন্তু মাথা গোজার ঠাঁইয়ের কথা চিন্তা করে এ পথে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
এছাড়াও জঙ্গি মারজানের স্ত্রী তার স্বামীর প্ররোচণায় জঙ্গিবাদে এসেছেন। মারজানের স্ত্রী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, মারজান ছিলো ডমিনেটিং স্বভাবের। তিনি তাকে জঙ্গিবাদে আসতে বাধ্য করেছিলো।
সূর্যভিলা জঙ্গি আস্তানায় আত্মঘাতী ওই নারী ছিলো হতাশাগ্রস্থ। তার আগের স্বামী মারা যাওয়ার পর কথিত স্বামী সুমনের সঙ্গে বিয়ে হয়। পরে তিনিও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন। আর মূলত হতাশার কারণেই ওই নারী আত্মঘাতী হামলার জন্য রাজি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে- জানালেন মনিরুল।
তিনি বলেন, নিজেদের ইচ্ছায় নয়, স্বামীর প্ররোচণায় এবং আশ্রয় পেতেই নারীরা জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছেন।
আর জঙ্গিরা নারীদের রাখছেন, তাদের নিজেদের প্রয়োজনে। তারা যাতে বাচ্চাদের জঙ্গিবাদের দীক্ষা দিতে পারে। সে কাজটিও নারীদের দিয়ে জঙ্গিরা করাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এসজেএ/এসএইচ