ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক এমরান হুসাইনকে নৈতিক স্খলনের দায়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর চূড়ান্তভাবে চাকরি হারালেন এই শিক্ষক।
এর আগে ২০১১ সালের ০২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক সভায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এমরান হুসাইনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পরে তদন্তের ভিত্তিতে সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
একই সভায় পিএইচডির থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ওমর ফারুককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সম্প্রতি তুরস্কের হ্যাসিট্টেইপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপকের পিএইচডি থিসিস হুবহু জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে ড. মুহাম্মদ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। হ্যাসিট্টেইপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাইন পিনার গোজেন আর্চান চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর এক মেইল বার্তায় তার পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সিন্ডিকেটের এ সভায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। থিসিসে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এসএনএস