রোববার (৮ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে সুন্দরগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মইনুল হাসান ইউসুফ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, শনিবার বিকেলে ছয়জনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
কোর্টের ইন্সপেক্টর এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন-সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্র কদমতলা গ্রামের জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা ফরিদ মিয়া (৭৩), একই উপজেলার নিচপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে জামায়াত কর্মী সামিউল ইসলাম (৩২), খামার পাঁচগাছী গ্রামের একরামুল হোসেনের ছেলে হাদিসুর রহমান (৩১), উত্তর হাতিবান্দা গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), রামভদ্র খানাবাড়ী গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে শিবির কর্মী হজরত আলী (৪৪) এবং পূর্ব শিবরাম গ্রামের সাবু খন্দকারের ছেলে নবিনুর খন্দকার (৪৪)।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শাহবাজ এলাকায় নিজ বাড়িতে আততায়ীর গুলিতে আহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. বিমল কুমার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসআই