ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগুনের স্পর্শ ছাড়াই পলি ব্যবহার করে ইট তৈরির নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
আগুনের স্পর্শ ছাড়াই পলি ব্যবহার করে ইট তৈরির নির্দেশ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা

ঢাকা: বিভিন্ন সময় নদী ড্রেজিং করা হয়। ড্রেজিংয়ের বালি নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। বিশেষ পদ্ধতিতে আগুনের স্পর্শ ছাড়াই এসব পলি ব্যবহার করে বিকল্প ইট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

সভায় ৭০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাগেরহাট জেলায় ৮৩টি নদী, খাল পুনঃখনন এবং মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার সময় ড্রেজিং করা পলি ও বালি মাটি ব্যবস্থাপনায় সমস্যার কথাটি উঠে আসে। এরপরই এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ড্রেজিং করা পলি মাটি নিয়ে অনেক সময় বিপাকে পড়তে হয়। বিশেষ উপায়ে এ মাটি ব্যবহার করে বিকল্প ইট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বিকল্প উপায়ে ইট তৈরির পাইলট প্রকল্প হাতে নেবো। যেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যায়’।

‘নদী থেকে পাওয়া সহজলভ্য কাঁচামাল বালুর সঙ্গে সিমেন্ট মিশিয়ে তৈরি করা হবে পরিবেশবান্ধব আর্ন্তজাতিক মানের ব্লক। এতে আগুনের কোনো ব্যবহার করা হবে না’।
 
একনেক সভায় মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ৮ হাজার ৮৭৪ কো‌টি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ৪৯৫ কো‌টি টাকা।
 
এর মধ্যে ৩ হাজার ৯২৭ কো‌টি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে ১৩১টি সেতু নির্মা‌ণ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলো নির্মাণ করা হবে। সেতুগুলোর মোট দৈর্ঘ্য হবে ২৬ হাজার ৭৪০ মিটার। প্রয়োজন অনুসারে ৬৪টি জেলায় সেতুগুলো নির্মিত হবে।

১ হাজার ৮৯১ কো‌টি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রামে পা‌নি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যা‌নিটেশন’ প্রকল্প এবং ৪৫৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয় একনেক সভায়।
 
৩৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে। ‘বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ এবং উপকেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
 
৫৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নব সংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল এবং সারুলিয়া এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৪ কোটি ২ লাখ টাকা। ‘১৬তলা তথ্য ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পও ৯৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর ও বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের দাফতরিক কাজ করা হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

**
সারাদেশে ১৩১টি সেতু নির্মা‌ণ প্রকল্পের অনুমোদন
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।