ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা ‘স্বর্ণ প্রবাসী’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা ‘স্বর্ণ প্রবাসী’ সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে বৈঠকে লন্ডনের ব্রেন্ট শহরের মেয়র পারভেজ আহমদ

ঢাকা: বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের ‘স্বর্ণ প্রবাসী’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তারা বাংলাদেশে এসে যেন স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারেন সে দায়িত্ব সরকারের। স্বর্ণ প্রবাসীদের পাশে থাকবে তথ্য মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে লন্ডনের ব্রেন্ট শহরের মেয়র পারভেজ আহমদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রবাসে কর্মরত, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব সরকারের।

যারা যুক্তরাজ্যে আছেন, তাদের শিক্ষার সমস্যা, চাকরির সমস্যা, কর্মের সমস্যা, বিনিয়োগের সমস্যা দেখা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

‘সরকার যে নীতি গ্রহণ করুক না কেনো গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সমস্যা ও সম্ভাবনার অংশগ্রহণ আরও ঘনিষ্ঠ করবে। গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ’
 
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে স্থানীয় সরকারের বাঙালিরা সম্মানের সঙ্গে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। যারা ওখানকার পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের সম্মান বাড়াচ্ছেন, তারা কীভাবে সেখানে স্থানীয় সরকার পরিচালনা করে, কীভাবে রান্না শিল্প প্রসারে ভূমিকা রাখে, সে বিষয় প্রচারে বিটিভি ও তথ্য মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেখানে বাংলাদেশের নাগরিকদের আরও কাজের সুযোগ আছে কিনা- তা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরবো।

প্রবাসীদের সমস্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দরদের সঙ্গে দেখবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ তিনটি খুঁটির উপর শক্তিশালী হয়েছে। তার একটি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর একটি পোশাক শিল্প এবং গ্রামের চাষি- যারা খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করেছে। ’
 
ব্রেন্ট শহরের মেয়র পারভেজ আহমেদ বলেন, প্রবাসীদের কীভাবে ভালো সার্ভিস দিতে পারি- এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রবাসীদের সহযোগিতা দিতে হলে বাংলাদেশেরও সহযোগিতা দরকার। ব্রিটেনে যারা আছি, ব্রিটেনের হাইকমিশনে তাদের সহযোগিতা দরকার। আমাদের সেবাগুলো উন্নত করতে হবে। রাইট পারসনকে রাইট জবে দিতে হবে।

বেক্সিটের ফলে আমাদের সামনে কিছু সুবিধাও আসছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা কীভাবে বেনিফিট নিতে পারি সে জিনিসটা উন্নত করতে হবে। এজন্য সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে পেছনে পড়ে যাব।  
 
‘এখনও ব্রিটেনে প্রত্যেক সেক্টরে দক্ষ মানুষের দরকার। রান্না শিল্পসহ সব খাতে দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এই শিল্প ইউরোপিয়ানদের দিয়ে চলবে না, ওরা রান্না সম্বন্ধে জানে না। এটা ইমিগ্রেশন ইস্যু হলেও মিডিয়া প্রভাবিত। এখন ওরা বুঝতে পারছে মিডিয়া দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এখন থেকে কাজ করে দক্ষ জনসম্পদ তৈর করলে ভবিষতে সমস্যা হবে না।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
এমআইএইচ/জিপি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।