ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতি জেলায় একটি করে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
প্রতি জেলায় একটি করে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দেশের আরও ২৩টি জেলায় বিশ্বমানের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি এও জানিয়েছেন, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ এবং রংপুর বিভাগীয় সদরে চারটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ কথা জানান। আওয়ামী লীগের টানা দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ ভাষণ দেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমাদের সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১০ সালে আমরা মাধ্যমিক পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কর্মসূচি শুরু করি।  

এসময় সারাদেশে বিনামূল্যে পাঠবই বিতরণের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সারাবিশ্বে বিনামূল্যে বই বিতরণের এমন নজির নেই।

শেখ  হাসিনা এসময় মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি বিতরণের চিত্রও তুলে ধরেন। তুলে ধরেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লাখোধিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণের কথাও। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন।  

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার হ্রাস পেয়ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় গিয়ে শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ থেকে ৪৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল। বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০০৯ সালে থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।  

“একই সময়ে বেসরকারি খাতে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৯টি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯৬টি। টেক্সটাইল এবং ফ্যাশন ডিজাইনসহ বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে দু’টি নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আইন পাশ করা হয়েছে। যেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সেসব জেলায় একটি করে সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। ”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণে প্রথম পর্যায়ে ১০০টি উপজেলায় ১০০টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে এবং ২য় পর্যায়ে ৩৮৯টি উপজেলায় আরও ৩৮৯টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হবে। কিশোরগঞ্জ, মাগুরা, মৌলভীবাজার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১টি একটি করে মোট ৪টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হয়েছে।  

“আরও ২৩টি জেলায় বিশ্বমানের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হবে। ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগীয় সদরে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ এবং রংপুর বিভাগীয় সদরে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। ”

প্রধানমন্ত্রী জানান, ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন করা হবে। ৮টি বিভাগীয় শহরে ৮টি মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন করা হবে।

ভাষণের শুরুতেই তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। স্মরণ করেন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হতাহত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
এটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।