রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১২টার দিকে গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক (সুন্দরগঞ্জ) মইনুল হাসান ইউসুব তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের আসামিরা হলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির হাজী ইউনূস আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম।
তাদের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামে।
এরআগে, ১১ ডিসেম্বর ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে তাদের আটক করে র্যাব-১। এরপর ১৩ জানুয়ারি ভোর রাতে তাদের সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়। বিচারক রোববার (১৫ জানুয়ারি) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
কোর্টে পুলিশের পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান সন্দেহভাজন দুই আসামির সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে বিচারক রোববার শুনানির দিন ধার্য করেন।
তিনি আরও জানান, রোববার সকালে তাদের হাজির করা হলে বিচারক শুনানি শেষে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শাহবাজ এলাকায় নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে আহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে দায়িত্বরত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. বিমল কুমার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ০১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এসএইচ