বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দিনগত রাতে অপহৃত শিহাবকে উদ্ধার করা হয়।
শিশু শিহাবের পরিবার জানায়, গত ৭ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে শিহাব নিখোঁজ হয়। পরদিন এ ঘটনায় শিশুটির বাবা জামাল ব্যাপারি বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
প্রথমে ঘটনটি নিখোঁজ বলে ভাবা হলে ১৬ জানুয়ারি মোবাইল ফোনে শিশুটির মায়ের কাছে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এতে শিশুটি অপহৃত হয়েছে বলে জানা যায় এবং নিখোঁজ জিডিটি অপহরণ মামলায় রূপ নেয়।
পরে শিশুটির পরিবার বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে ৪৫ হাজার টাকা অপহরণকারীদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে পাঠিয়ে দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিজন কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, যে নম্বরে বিকাশ করে মুক্তিপণ দেওয়া হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, সেই নম্বরটি ডলি নামে এক নারীর নামে রয়েছে।
রাজধানীর বাড্ডা থেকে তাকে গ্রেফতারের পর ওই মহিলার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপহরণের মূলহোতা আলমগীরকে মান্দাইল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, বুধবার দিনগত রাতে শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার আনাখণ্ড গ্রামে আলমগীরের নিজ বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় আলমগীরের প্রথম স্ত্রীর হেফাজত থেকে শিহাবকে উদ্ধার করা হয়। এরপর গ্রেফতার করা হয় আলমগীরের স্ত্রী আসমা বেগম, তার ভাই জাকির শেখ, আওলাদ শেখ ও ইমরান শেখকে।
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আলমগীর। তিনি ভিকটিমের প্রতিবেশী।
আলমগীর আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য শিশুটিকে অপহরণ করেছিল বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
আরবি/টিআই