বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, আদালতের আদেশ অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া এবং পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। অন্য সব উপজেলায় পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী যথারীতি যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য করা ৮ জেলার কমিটির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আবেদনকারীর আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২১ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৮ জেলার কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। এতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরদার আব্দুল মালেককে বাদ দিয়ে ডেপুটি কমান্ডার মো. মজিবুল হক মিয়াকে কমিটিতে রাখা হয়।
‘নিয়ম হচ্ছে কমান্ডার থাকবে। কিন্তু কোটালীপাড়ায় কমান্ডারকে রাখা হয়নি। তাই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন আব্দুল মালেক। ’
তিনি বলেন, আদালত পুরো গেজেট স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুলে ওই গেজেট কেন অবৈধ হবে না তা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপসচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, কোটালীপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডেপুটি কমান্ডারের কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।
মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গেজেট স্থগিত হওয়া মানে পুরো আট জেলার কমিটির (গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, চাঁদপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ঝালকাঠি ও সিলেট) কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
পরে সন্ধ্যায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, ৮ জেলায় নয়, স্থগিত থাকবে শুধু মাত্র গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। আবেদনকারী পুরো গেজেটের কথা লিখলেও তার শুধু প্রয়োজন কোটালীপাড়ায়। তার তো পুরাটা দরকার নেই। কোর্ট বলে দিয়েছেন শুধু ওটাই (কোটালীপাড়া) হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২১ জানুয়ারি থেকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তির জন্য যাচাই-বাছাই শুরু হয়। চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এমআইএইচ/ইএস/ওএইচ/এটি
** ৮ জেলার মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই কমিটি স্থগিত