ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শোকে শ্রদ্ধায় খেলাঘরের ছয় সংগঠককে স্মরণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
শোকে শ্রদ্ধায় খেলাঘরের ছয় সংগঠককে স্মরণ কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের আলোচনা সভা/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সাম্প্রতিককালে প্রয়াত ছয় সংগঠককে গানে ও আলোচনায় শোকে-শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর। তাদের কর্মকে মনে রেখে, দেখানো পথকে অনুসরণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার মাধ্যমে সুখী-সুন্দর, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা সৃজনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন স্মরণ সভার বক্তা ও সমবেতরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা ভবনের সেমিনার কক্ষে এ স্মরণ সভায় শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয় অকালপ্রয়াত এ ছয় সংগঠককে। তারা হচ্ছেন- খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য প্রবীর দাশগুপ্ত, সাবেক সদস্য আনসার আহমেদ, সাবেক সদস্য শাহজাহান পাটোয়ারী, বর্তমান সদস্য মকবুল হোসেন, সাবেক জাতীয় পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন ও সাবেক জাতীয় পরিষদ সদস্য রেজাউর রহমান বাবু।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক প্রণয় সাহা। প্রয়াত সংগঠকদের স্মরণ করেন কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাজমুল আহসান অপু, শফিকুর রহমান শহীদ ও হাসান তারেক, গীতিকার ও সুরকার সেলিম রেজা, কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাহমিন সুলতানা সাথী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ পলাশ, সদস্য মামুন মোরশেদ, প্রকৌশলী অমল নাগ, সহ সাধারণ সম্পাদক সাহাবুল ইসলাম বাবু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাংবাদিক অশোকেশ রায়, আশরাফিয়া আলী আহমেদ নান্তু, হাফিজুর রহমান মিন্টু, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার মিন্টু প্রমুখ।
 কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের আলোচনা সভা/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমস্মরণ সভার শুরুতে প্রয়াতদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে গানে গানে তাদের স্মরণ করেন খেলাঘরের ভাই-বোন, অভিভাবক ও সংগঠকরা।

শোকাহত পরিবারগুলোর পক্ষে আনসার আহমেদের ছোট ভাই সুমন আহমেদ ও মকবুল হোসেনের ছেলে শাহীনুর রহমান তাদের স্বজনদের স্মরণ করেন।

পূর্বসূরী দীর্ঘদিনের এ ছয় সংগঠককে হারিয়ে কেবল খেলাঘর আন্দোলন বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা শিশু-কিশোর , সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন স্মরণ সভার আলোচকরা। তবে শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রগতিমুখী উন্নত বাংলাদেশ গড়বার আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।