‘ঢাবি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা সিরাজুলের’ শীর্ষক এক সংবাদ প্রতিবেদন মন্ত্রীকে আকৃষ্ট করলে তিনি নিজ উদ্যোগে সিরাজুলকে ভর্তির সুযোগ করে দেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর দপ্তর থেকে সিরাজুলের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী সিরাজুল। মন্ত্রী সিরাজুলের ভর্তিসহ অন্যান্য খরচের টাকা পাঠিয়ে দেন। এছাড়া তার পড়ালেখার খরচ বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে বহন করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বাংলানিউজকে সিরাজুল বলেন, 'মন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এক সময় বই কেনার টাকা ছিলো না বলে পড়তে পারিনি। ২০১০ সালে বিনামূল্যে বই পেয়েছিলাম বলে পড়তে পেরেছি। '
আমার মতো হাজার হাজার সিরাজুল এভাবে আছে যারা ঢাকায় যাওয়ার টিকিটের টাকার অভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। যাদের খাবার টাকা নেই। যাদের বাবা-মা শীতে গরম কাপড় কিনতে পারেন না। তাদের জন্য এভাবে মানুষের এগিয়ে আসা উচিত'।
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার তালুক হরিদাস (রইচবাগ) গ্রামের চায়ের দোকানদার মৃত দবিয়ার রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম। মেধার স্বাক্ষর রেখে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসে সিরাজুল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে অংশ নেয় ভর্তিযুদ্ধে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ অর্জন করে। কিন্তু অর্থসংকটে সিরাজুলের উচ্চশিক্ষা লাভের স্বপ্ন হোঁচট খায়। দরিদ্র সিরাজুলের মা রোজিনা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। কলেজে অধ্যয়নকালে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে হকারের কাজ করতো সিরাজুল। শুধু তাই নয়, পড়ালেখার খরচ যোগাতে অন্যের বাড়িতে শ্রমিকের কাজও করতেন সিরাজুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এসএ/জেডএম