এর আগে তাদের দুইজনের মধ্যে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুর ২ টার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারা।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে তাদের একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেছি। তারা তা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
‘তবে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা কীভাবে আরও বাড়ানো বা উন্নততর করা যায় সে বিষয়টি নিয়েও কথা হয়েছে। কথা হয়েছে বন্দরের গতিশীলতা বাড়ানো নিয়েও। ’
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখে। কেননা বন্দর একটি রাষ্ট্রের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি। এজন্যই জলদস্যু ও জঙ্গিদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয় বন্দর।
‘কেবল চট্টগ্রাম বন্দরই নয়, আমরা অন্যান্য বন্দরসহ নানা বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেছি। ’
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালিদ ইকবালও উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা হটাৎ কোনো ইস্যু নয়। রুটিন ওয়ার্ক। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন মার্কিন কোস্টগার্ডকে সারা বিশ্বের বন্দরের নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্ব দিয়েছে।
‘তারা বিশ্বজুড়ে বন্দরগুলো ঘুরে নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখভাল করে। দুই বছর আগেও তারা বাংলাদেশে এসেছিলো। ’
তবে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বন্দরের নিরাপত্তা ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি নিরাপত্তায় সহযোগিতা, ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণসহ আরও বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুস সামাদ সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
আরএম/এমএ