ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুই সপ্তাহেও গ্রেফতার হননি আনিছ হত্যার আসামিরা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৭
দুই সপ্তাহেও গ্রেফতার হননি আনিছ হত্যার আসামিরা!

মানিকগঞ্জ: দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পরেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন আনিছ হত্যা মামলার একজন বাদে সব আসামি। ওই আসামিকেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। জামিন চাইতে গেলে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

খুনিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে আনিছের মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন করেও কোনো সুফল পাননি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কামতা গ্রামবাসী।  

পরকীয়ার জের ধরে কামতা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন অটোরিকশা চালক আনিছুর রহমান আনিছ (৩৪)।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

সাটুরিয়া থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কামতা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনিছুর রহমান আনিছ একই গ্রামের মো. সোবহানের মেয়ে সোনিয়াকে (১৯) প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে সোনিয়ার।

এর জেরে আনিছকে ডির্ভোস দেন সোনিয়া। কিন্তু ডির্ভোসের পরে ফের আনিছের সঙ্গে সংসার করার চেষ্টা করেন সোনিয়া। বিষয়টি মেনে না নিলে গত ২৯ অক্টোবর কামতা গ্রামেই দিনে-দুপুরে আনিছের ওপর হামলা চালান সোনিয়ার লোকজন। এক পর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে স্থানীয় রেজাউলের কাঠবাগানে আনিছকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তারা।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে গত ১৬ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনিছ।

এ ঘটনায় আনিছের বড় ভাই নাছির হোসাইন সাটুরিয়া থানায় হত্যা মামলাটি করেন।  

মামলায় আনিছকে তালাক দেওয়া স্ত্রী সোনিয়া, মনোয়ার মেম্বার, সোনিয়ার বাবা সোবহান ও শরিফুল ইসলামসহ ৯ জনের সঙ্গে অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাদী নাছির হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, মামলা দায়েরের দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাটুরিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্বাস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেও দাবি করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
জিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।