ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাদুঘরে শীতলপাটির বিশেষ প্রদর্শনী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৭
জাদুঘরে শীতলপাটির বিশেষ প্রদর্শনী শীতলপাটি গ্যালারিতে সংষ্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অন্যরা

ঢাকা: বাংলাদেশের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন শীতলপাটি। এ লোকশিল্পটি মুর্তা গাছের বেত থেকে বিশেষ বুননকৌশলে শিল্পরুপ ধারণ করে। ব্যবহারের উপর নির্ভর করে শীতল পাটির আকার-আকৃতি ও ডিজাইনের বৈচিত্র্য দেখা যায়। আর সেসব বৈচিত্র নিয়েই জাতীয় জাদুঘরে শুরু হয়েছে শীতলপাটির বিশেষ প্রদর্শনী।

মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন খান ও দেশের বিশিষ্ট লোকশিল্প গবেষক শ্রী চন্দ্রশেখর সাহা।  

সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান।

সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, শীতলপাটির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। কারুশিল্পের রক্ষায় লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের অবদান রাখার সুযোগ অনেক বেশি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ শিল্পের সঙ্গে নতুনত্ব এনে তাকে রক্ষা করতে হবে। এখন কারুশিল্পীদের নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে শিল্পীরা তাদের স্বাধীনতা হারাচ্ছে।  

বাংলাদেশের শীতলপাটিকে ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করা যায় এ স্বীকৃতি পেয়ে জামদানি, বাউল গান, মঙ্গল শোভাযাত্রার মতো পৃথিবীর কাছে সগৌরবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশের শীতলপাটি।  

গবেষক শ্রী চন্দ্রশেখর সাহা কথা বলেন,  শীতলপাটির বয়নরীতির ব্যাপারে। প্রয়োজনের তাগিদে আবিষ্কার এ শিল্প পৃথিবীর এক বিস্ময় বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এ শিল্পকে সংরক্ষণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

সভাপতি হাশেম খান বলেন, দেশের কারুশিল্পীদের রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। শুধু স্বীকৃতি পেলেই হবেনা, এ শিল্পের ভবিষ্যতও নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-  বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। তিনি বলেন, শীতলপাটি দেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হস্ত ও কুটির শিল্প হিসেবে এ শিল্পের বিকাশ লাভ হয়েছে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবেও এর গুরুত্ব অনেক।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে শীতলপাটির এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারীতে এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত সকলের জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
এইচএমএস/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।