মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান।
সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, শীতলপাটির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। কারুশিল্পের রক্ষায় লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের অবদান রাখার সুযোগ অনেক বেশি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ শিল্পের সঙ্গে নতুনত্ব এনে তাকে রক্ষা করতে হবে। এখন কারুশিল্পীদের নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে শিল্পীরা তাদের স্বাধীনতা হারাচ্ছে।
বাংলাদেশের শীতলপাটিকে ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করা যায় এ স্বীকৃতি পেয়ে জামদানি, বাউল গান, মঙ্গল শোভাযাত্রার মতো পৃথিবীর কাছে সগৌরবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশের শীতলপাটি।
গবেষক শ্রী চন্দ্রশেখর সাহা কথা বলেন, শীতলপাটির বয়নরীতির ব্যাপারে। প্রয়োজনের তাগিদে আবিষ্কার এ শিল্প পৃথিবীর এক বিস্ময় বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এ শিল্পকে সংরক্ষণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
সভাপতি হাশেম খান বলেন, দেশের কারুশিল্পীদের রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। শুধু স্বীকৃতি পেলেই হবেনা, এ শিল্পের ভবিষ্যতও নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। তিনি বলেন, শীতলপাটি দেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হস্ত ও কুটির শিল্প হিসেবে এ শিল্পের বিকাশ লাভ হয়েছে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবেও এর গুরুত্ব অনেক।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে শীতলপাটির এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারীতে এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত সকলের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
এইচএমএস/বিএস