মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) দুই শিফটে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হওয়ায় দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা বাতিল এবং তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ‘সি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পদ্মা ‘এ’ এবং ‘বি’ সেটে প্রশ্ন হয়। বেলা ১১টায় দ্বিতীয় শিফটে পরীক্ষা হয় যমুনা কোডে। এতে ‘এ’ সেটের প্রশ্ন যমুনা থেকে হলেও ‘বি’ সেটে প্রশ্ন আসে পদ্মা কোড থেকে। বিষয়টি বুঝতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্যরত সাংবাদিকরা ইউনিট সমন্বয়কারী ও প্রশাসনকে জানায়। দিনের তৃতীয় শিফটেও একইভাবে পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কায় পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে তাৎক্ষণিক কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ও ইউনিট সমন্বয়কারী সদস্যদের সঙ্গ জরুরী সভা ডেকে ভর্তি বাতিল এবং নতুন তারিখ ঘোষণা করে। কিন্তু প্রশ্ন কেলেঙ্কারির সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রগতীশীল একাধিক শিক্ষক বলেন, বর্তমান প্রশাসন ১০০ টাকার দুর্নীতির জন্যও তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু প্রশ্ন কেলেঙ্কারির মত এত বড় একটা বিষয়ে কেনো তদন্ত কমিটি গঠন করেনি বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বাংলানিউজকে বলেন, এমন একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আর তদন্ত কমিটি অবশ্যই গঠন করা হবে। কেউ অপরাধী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
এনটি