তাবলীগ-জামায়াতের আয়োজনে শহরের সাগর পাড়ের ডায়াবেটিস পয়েন্টে ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে ইজতেমা। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার কার্যক্রম।
ইজতেমা কমিটি সুত্রে জানা যায়, অন্তত সাড়ে ৫ লাখ মুসল্লি এই ইজতেমায় অংশ নেবেন। মুসল্লিদের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য অস্থায়ীভাবে ৬শ’ টয়লেট, ১শ’ টিউবওয়েল ও ১ হাজার প্রসাবখানা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও তাবলীগ-জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তাবু টাঙানো, চট বিছানো ও পুলিশের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
ইজতেমার মাঠের দায়িত্বরত তাবলীগ-জামায়াতের নেতা আতাউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রচারণার কোনো কার্যক্রম তাবলীগ-জামায়াতে নেই। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কক্সবাজারের ইজতেমা শেষে অন্তত ৩০ হাজার মুসল্লি ইসলামের দাওয়াত নিয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বেন। তাবলীগ-জামায়াতের শীর্ষ ব্যক্তিরা কক্সবাজারে বয়ান রাখবেন।
রামুর ঈদগড় থেকে ইজতেমায় আসা নুর মোহাম্মদ (৬৫) বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এত মুসল্লির সঙ্গে বয়ান শুনা ও মোনাজাতে শরিক হওয়া অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমার মাঠ ও আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশের পাশাপাশি, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে ইজতেমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আলী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কক্সবাজারের ইজতেমা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ও মুসল্লিদের ভোগান্তি দুর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ইজতেমা কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
টিটি/এসআরএস