ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গরু-ছাগল জবাইয়ে ডোবার পানিই ভরসা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
গরু-ছাগল জবাইয়ে ডোবার পানিই ভরসা! কসাইখানা- ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কসাইখানায় গড়ে ওঠেনি কোনো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। শেড না থাকায় ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে ও রোদে পুড়ে পশু জবাইয়ের কাজ চলছে। নলকূপ না থাকায় পশু জবাইয়ের পর ডোবার পানিতে মাংস পরিষ্কার করে বাজারে তুলছেন কসাইরা।

এদিকে নির্দিষ্ট কসাইখানা থাকলেও শহরের বাস টার্মিনাল, গোলাহাট ও রেলওয়ে কারখানা এলাকায়ও পশু জবাই করে পরিবেশ দূষিত করছেন কসাইরা।  

সরজমিনে দেখা গেছে, শহরের উপকণ্ঠে ভাগাড়ে গড়ে তোলা কসাইখানাটিতে ফজরের নামাজের পর পরই গরু-ছাগল জবাই শুরু হয়ে চলে সকাল ৮টা পর্যন্ত।

গড়ে প্রতিদিন ৩০/৪০টি গরু ও একই সংখ্যক ছাগল জবাই করা হয়। শুক্রবার দ্বিগুণ-তিনগুণে দাঁড়ায় জবাইয়ের সংখ্যা।  

জবাইয়ের আগে পশু রোগাক্রান্ত কি-না- তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিধান থাকলেও এখানে প্রায়ই তা করা হয় না। অথচ পৌরসভার সিলমারা জবাই করা পশুর মাংস আসছে বাজারে।  

জবাইয়ের পর পশুর মাংসসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পাশের ডোবার পানি।  

কসাইরা বলেন, ‘নির্দিষ্ট কসাইখানাটিতে নলকূপ বসানো ও শেড নির্মাণে বহুবার সৈয়দপুর পৌরসভাকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। নানা অব্যবস্থাপনার মধ্যে পশু জবাই করে রিকশা ও ভ্যানে শহরে আনতে হচ্ছে। কসাইখানা এলাকার প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক কাঁচা ও ভাঙা-চোরা থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের’।  

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন সরকার জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে শহরের উন্নয়নে কাজ শুরু হয়েছে। এর আওতায় ওই কসাইখানাটিকে খুব শিগগিরই আধুনিক মানে গড়ে তোলা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।