ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণার দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণার দাবি সংবাদ সম্মেলনেলিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্রিস্টিও মারিও দ্য শিল্পী দাস

ঢাকা: ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে মুক্তিজোট।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, এডিটোরিয়াল বোর্ড প্রধান অ্যাডভোকেট ক্রিস্টিও মারিও দ্য শিল্পী দাস।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠন প্রধান- আবু লায়েস মুন্না, জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি প্রধান- মো. সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, মো. শাহজামাল আমিরুল, মো. বদরুজ্জামান রিপন, সায়মা নাজনীন প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে ক্রিস্টিও বলেন, ‘১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যার পৈশাচিকতা এ দেশ কখনও ভুলবে না। তাই ৪৬ বছর ধরে সর্বস্তরের মানুষ ১৪ ডিসেম্বর রাস্তায় নেমে আসে। কেবল রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নয় বরং সে শোকের মাতম কালো ব্যান্ডেজ- হয়ে সমগ্র দেশজুড়ে সবার বুকে বুকে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তারপরেই সে শোক অশ্রু-ক্রোধ ও অর্জনের স্মারক হিসেবে ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস’র আনন্দ হয়ে ফিরে আসে। তবুও বেদনাটুকু যেন রয়েই যায়। অতঃপর অসংখ্য মৃত্যু ও রক্তদামে অর্জিত লাল-সবুজের সার্বভৌম নিশানকে সবাই স্যালুট করে- অশ্রু মুছে। এভাবে ১৪ ডিসেম্বর হয়ে সব শহীদানের সওগাত আমার পতাকায় ভাসে’।

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দ্বারা নৃশংস গণহত্যার সঙ্গে বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা কেবল তাদের নারকীয় পৈশাচিকতার নতুন মাত্রা ভাবলে ভুল হবে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বা আমাদের বিজয় অবধারিত জেনেই তা ঘটানো হয়েছিল, যা সন্দেহাতীতভাবে ভবিষ্যৎ জাতীয় জীবন প্রাসঙ্গিকতায় দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী জঘণ্য পরিকল্পনাকেই নিশ্চিত করে’।

এক্ষেত্রে, ‘তৎকালীন রাষ্ট্রশক্তির সংশ্লিষ্টতাতেই তা ঘটানো হয়েছিল বিধায় তার প্রত্যুত্তরে ন্যায়ত অনিবার্য হয়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় ভূমিকা এবং সেটা কোনো ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে নয়। সামষ্টিক ক্ষেত্রে ঘটেছিল বলেই-এটা কেবল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত শ্রদ্ধা বা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দানের বিষয় নয়। বরং উত্তর প্রজন্মের স্বার্থে তা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের অন্তর্গত। আর তাই সংগত কারণেই অবিলম্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক’।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এমএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।