বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার রক্ষিতপাড়া গ্রামের কৃষক আলী আকবরের সঙ্গে একই গ্রামের মোচন আলী নামের এক ব্যক্তির জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিলো।
সম্প্রতি আদালতের রায় আলী আকবরের পক্ষে আসে। রায়ের পর বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) জমির কাগজপত্র দেখানোর জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য কর্মীদের নিজ বাড়িতে ডাকেন। দুপুরের লোকজন তার বাড়িতে গেলে তিনি নিজের পক্ষের কাগজপত্রও তাদের দেখান। এর পর পরই প্রতিপক্ষ মোচন আলী লোকজন নিয়ে আলী আকবরের বাড়িতে হামলা চালান। তাদের হামলায় আলী আকবরসহ একই পরিবারের সাতজন আহত হন। এদের মধ্যে মতিউর রহমান (২৬), আমিন (৪৫) ও মেহেদি হাসানের (১৬) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে আলী আকবর মারা যান।
জানতে চাইলে ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, নিহতের স্বজনরা আহত থাকায় এখনও মামলা হয়নি। তবে নিহতের ব্যক্তির পরিবারের লোকজনদের থানায় ডাকা হয়েছে। তারা কেউ এলেই এ ঘটনায় হত্যা মামলা নেওয়া হবে। তবে সকালে এ ঘটনায় জড়িত মাজেদা বেগম নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি নাসিম আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/