বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন ও চিকিৎসকদের মধ্যে বৈঠকে হয়। দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে তাদের মাঝে সমঝোতা হয়।
ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফ বলেন, আমাদের মধ্যে যে দূরুত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করেছি। প্রশাসনকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ওএসডি হওয়া এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম বলেন, এখন আমরা একে অপরকে চিনেছি, জেনেছি, বুঝেছি। একে অপরকে চিনতে না পারায় ঘটনাটি ঘটেছে। এখন আমরা লক্ষ্মীপুরের উন্নয়নের স্বার্থে ৪ তারিখের ঘটনা ভুলে গেছি।
সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম, পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তফা খালেদ আহমদ, ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, ডা. জাকির হোসেন ও লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা প্রমুখ।
গত সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে শহরের জেলা প্রশাসকের বাসভবন এলাকার কাকলি শিশু অঙ্গনের (বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) প্রবেশমুখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও সাবেক সিভিল সার্জন শরীফের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ দিয়ে আটক করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সালাহ উদ্দিন শরীফকে তিন মাসের বিনাশ্রম জেল দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
একদিন পর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ২৪ ঘণ্টা পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিলের পর বিচারক মীর শওকত হোসেন পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ওই চিকিৎসকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে চিকিৎসকের কারাদণ্ডের বিষয়ে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) জনস্বার্থে দুইজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরজ্জামানকে ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ হাজির থাকতে তলব করেন। সালাহ উদ্দিন শরীফকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
অন্যদিকে মঙ্গলবার এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলামকে ওএসডি করা হয়েছে। এক প্রজ্ঞাপনে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে পদায়ন করা হয়।
বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেল ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত লক্ষ্মীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফ আপিলে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৩৪ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এমজেএফ/