তিনি বলেছেন, জেরুজালেম প্রশ্নে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত (রেজুলেশন) আছে। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কম্বোডিয়া সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলয়ের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, প্যালেস্টাইনের একটা অধিকার রয়েছে। তাদের একটা নিজস্ব রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে হবে। নিজস্ব রাষ্ট্র হতে হবে। ১৯৬৭ সালে প্যালেস্টাইনের যে সীমানাটা ছিল, ইস্ট জেরুজালেম যেটা তাদেরই জায়গা, সেটাই থাকা উচিত। এর বিরুদ্ধে এক তরফাভাবে কিছু করা মানে সারা বিশ্বে শান্তি নষ্ট করা।
‘যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করে, এ জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারও পেয়েছিল। এখন সেই শান্তিপ্রক্রিয়াকে অশান্তির পথে ঠেলে দেওয়া হলো। এটা কাম্য নয়। অনুরোধ করবো সকল মুসলিম দেশকে এক হতে, মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে। প্যালেস্টাইন যেন ন্যায় অধিকার পায়, সে জন্য যেন এক হয় সবাই। ’
এর আগে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে কম্বোডিয়া সফরে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, তার এ সফরে নমপেনের একটি সড়ক বঙ্গবন্ধুর নামে করা হয়েছে। আর ঢাকাতেও একটি সড়কের নাম সেদেশের রাজার নরদোম সিহানুকের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
তিনদিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এমইউএম/এমএ