এমনটা বলাবলি করছিলেন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হওয়া দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মরদেহ দেখতে আসা শোকাহত মানুষ। তাদের দেখতে হাসপাতালে উপচেপড়া ভিড় করছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
হাসপাতালে মরদেহ দেখতে আসা জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আমহদ বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কিনা সেটা নিশ্চিত নয় কেউ। তবে এরকম ঘটনা এ শহরে আর ঘটেনি। এ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক নয় ব্যক্তিগত সংঘাত হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি শুনেছি খেলাধুলা নিয়ে নিহত নাহিদের সঙ্গে তার সহপাঠিদের বিরোধ ছিল। যা মীমাংসা করার জন্য শাহবাব এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখো হয়েছেন। শহরের দোকানপাট বন্ধ করেছেন রাত ৯টার আগেই। শহরে বিরাজ করছে অজানা এক আতঙ্ক। চারদিকে সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে।
অন্যদিকে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকা তন্নতন্ন করে হত্যাকারীদের খুঁজছে পুলিশ- এমনটা জানালেন পুলিশ সুপার (এসপি)মোহাম্মদ শাহ জালাল।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
এএটি/এমএইউ/