বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার মান্দারী বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, মালিক দাবিদার আবু তৈয়ব ফিরোজের পক্ষ হয়ে মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান বেগ বাবলু অনুসারীদের নিয়ে দোকান দখলের চেষ্টা ও হামলা করে।
আহতরা হলেন মো. হাছান, তার স্ত্রী শিল্পী আক্তার, শিশু কন্যা সুমাইয়া, হাছানের ভাই শাকিল ও বাবা আবদুর রাজ্জাক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, উপজেলার মান্দারীর গরু বাজারে ২০১৩ সালে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে এক শতাংশ জমি কেনেন মো. কাজী সেলিম ও সজিব। তারা বটতলী গ্রামের আবদুল রাজ্জাকের ছেলে। সেখানে দোকান-ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান করা হয়।
স্থানীয় খোরশেদ আলম ও হালিমা বেগমের কাছ থেকে জমিটি কিনলেও স্থানীয় সুদিকারবারি হিসেবে পরিচিত বটতলী গ্রামের মওলানা বাড়ির বজরুল করিমের ছেলে আবু তৈয়র ফিরোজ জমিটির মালিকানা দাবি করেন। এটা নিয়ে তিনি লক্ষ্মীপুর আদালত ও থানায় একাধিক মামলা করলেও জমির মালিকানার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনির। মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত। পরে সে ক্ষিপ্ত হয়ে একাধিকবার জমিটি দখলের পাঁয়তারা করে।
এতে বাধ্য হয়ে কাজী সেলিম জেলা আদালতে আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আবু তৈয়ব একাধিকবার সময় চেয়ে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ভাড়াটিয়া ২০-২৫ জনকে নিয়ে দোকানটি দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই দোকানের পেছনে বসতঘরে ঢুকে নারীসহ পাঁচজনকে বেদম পিটিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে আবু তৈয়ব ফিরোজের সঙ্গে যোগাযোগরে চেষ্টা করে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান বাবলু বলেন, জমির বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌসি বেগম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
এএটি/এমএইউ