বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশ ওই কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
ওই যুবক আবাসিক হোটেলের রেজিস্টারে (হোটেলের নিবন্ধন খাতায়) নিজের পরিচয় যশোরের কোতয়ালী থানার আরএন রোডের ওমর আশরাফউদ্দিনের পুত্র শহীদ বলে উল্লেখ করেছে।
বুধবার রাতে সে ওই পরিচয় দিয়ে হোটেলটির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিল।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে। হোটেল কক্ষের ভেতরে কীটনাশকের একটি খালি বোতল ও কীটনাশকের তীব্র গন্ধ পাওয়া গেছে।
পুলিশের ধারণা, প্রথমে সে কীটনাশক সেবনের মাধ্যমে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় সে একটি গামছা হোটেল কক্ষের বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
হোটেলের রেজিস্টারে দেওয়া ওই যুবকের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে ওই মোবাইল নম্বরের কললিস্টের সূত্র ধরে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৭
এমএইউ/